আমি লিখি, কারণ শব্দই আমার একমাত্র আশ্রয়।
কবিতা গড়ি, কারণ সেখানে আমি নিজেকে খুঁজি—
সে আমি, যাকে সমাজ ছেঁচে ফেলে রেখেছে জীবনের এক কোণে,
যার স্বপ্নগুলো হাঁটতে হাঁটতে ধুলোয় মিশে যায়,
তবু কলম ধরি, কারণ এখনো বিশ্বাস করি—
শব্দ পারে ছুঁতে মানুষ, গলাতে পাথর হৃদয়।
একদিন এক কবিতা পাঠিয়েছিলাম তোমাদের কাছে—
হৃদয় থেকে ছিঁড়ে আনা এক টুকরো রোদ্দুর,
ভাবলাম, তোমরা বুঝবে,
কারণ কবিতা ভালোবাসো বলেই তো ভেবেছিলাম।
কিন্তু বুঝলাম, এখানে অনুভবের নয়, হিসেবের মূল্য।
তোমরা বললে—”চমৎকার কবিতা, কিন্তু বিজ্ঞাপন নেই? পারিশ্রমিক?”
আমি কিছু দিতে পারিনি,
কারণ আমি সেই ক্ষুদ্র কবি,
যার চোখের নিচে জমে থাকে অনিদ্রা আর ক্লান্তির কালি,
আর হৃদয়ে বয়ে চলে এক অশ্রুত বিষণ্ণ নদী—
যা কেবল শব্দে প্রকাশ পায়, কিন্তু বাজারে বিকোয় না।
তোমরা আমার কবিতার দরজা বন্ধ করে দিলে,
কারণ আমি টাকায় মাপা যাই না।
জানলে না, আমি যা দিতে চেয়েছিলাম, তা ছিল নিঃস্বার্থ হৃদয়।
আজ তোমাদের জন্য আমার শুধু একটিই কথা—
যেদিন সবকিছু দামে পরিমাপ করবে পৃথিবী,
সেদিন শব্দের জগতে নামবে এক চিরস্থায়ী নৈঃশব্দ্য






